March 10, 2025, 4:03 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন আবরার ফাহাদ ছিলেন ভারতীয় আগ্রাসনবাদী এদেশীয় স্বৈরাচার উৎখাত আন্দোলনের প্রথম শহীদ। তিনি ভারতীয় আগ্রসনের বিরুদ্ধে লিখতে গিয়েই তিনি সেদিন শহীদ হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, আবরার শুধু একটি নাম নয়, তিনি ছিলেন আমাদের আগ্রসন বিরোধী লড়াইয়ের পথে অগ্র সৈনিক ; তার মৃুত্যু জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের র্পূব-সুচনা হিসেবে কাজ করেছিল। আবরার ফাহাদকে স্মরণ করেই এদেশের তরুণ-যুবকরা উজ্জীবিত হয়েছিলেন। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে আমাদের যুবকরা প্রাণ ঢেলে দিয়েছিলেন এবং আমরা ভারতীয় আগ্রাসনের এদেশীয় প্রধান খুঁটি শেখ হাসিনাকে উৎখাত করতে সক্ষম হয়েছিলাম।
আসিফ মাহমুদ আজ (বৃহস্পতিবার) কুষ্টিয়াতে শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়ামের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ সজীব বলেন, আবরার ছিলেন দীর্ঘ ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের অনুপ্রেরণা। তিনি শহীদ হয়েছিলেন। পেছনে রেখে গিয়েছিলেন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের নতুন একটি ধাঁচ। পরবর্তী লড়াইগুলোতে আবরারের আত্মত্যাগ ছিল আমাদের অনুপ্রেরণা।
তিনি বলেন, আবরারের মৃত্যুর পর পলাশীতে তার স্মরণে একটি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছিল কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পুলিশ সেটি ভেঙে দিয়েছিল।
আবরারের দ্বিতীয় মৃত্যূ বার্ষিকীতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে শোকসভার আয়োজন করা হযেছিল সেখানেও হাসিনার ছাত্রলীগ হামলা চালায়। সেদিন আমাদের আহত ২৪ জন কর্মীকে ঐ অবস্থাতেই পুলিশে সোর্পদ করা হয়েছিল। মামলা দেয়া হয়েছিল। সেই মামলায় আমরা দীর্ঘদিন জেলে ছিলাম।
ফ্যাসিবাদী সরকার আবরার ফাহাদকে নিয়ে কোন অনুষ্ঠান করতে দিত না। তারা আবরার ফাহাদের নাম মুছে দিতে চেয়েছিল। কোন সংবাদ পরিবেশন করতে পারতো না পত্র-পত্রিকা। কিন্তু যারা আত্মত্যাগ করে তাদেকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যায় না।
১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কুষ্টিয়া স্টেডিয়ামটি ভেঙে ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় দৃষ্টিনন্দন স্টেডিয়াম। ২০২০ সালে নাম রাখা হয় শেখ কামাল স্টেডিয়াম। বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার পর নির্মীয়মাণ স্টেডিয়ামটি তার নামে নামকরণের দাবি ওঠে। পরবর্তী সময়ে গত বছর নভেম্বরে স্টেডিয়ামকে নতুন নামে নামকরণ করে বুয়েট ছাত্র শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম করে সরকার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ক্রীড়া সচিব রেজাউল মাকসুদ জাহেদী, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, আবরার ফাহাদের বাবা বরকতউল্লাহ।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এর আগে সকালে জেলার কুমারখালী উপজেলার কয়া রায়ডাঙ্গা গ্রামে আবরার ফাহাদের কবরে শ্রদ্ধা জানান আসিফ মাহমুদ। পরে কবর জিয়ারত শেষে শহীদ আবরার ফাহাদ জামে মসজিদের সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।
Leave a Reply